জিআই পণ্যের প্রশ্ন ও উত্তর

বাংলাদেশের জিআই পণ্য ২১টি।

জিআই পণ্য স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অদিধপ্তর (ডিপিডিটি)।

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই)। ইংরেজিতে বলা হয় Geographical Indication (GI).

সর্বশেষ জিআই পণ্য কুষ্টিয়ার তিলের খাজা। এটি দেশের ২১ তম জিআই পণ্য। বর্তমানে দেশের স্বীকৃত জিআই পণ্য ২১টি।

1.    বাংলাদেশের শীতল পাটি (১২’শ)
2.    বগুড়ার দই (১৩’শ)
3.    শেরপুরের তুলশীমালা ধান (১৪’শ)
4.    চাঁপাই নবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম (১৫’শ)
5.    চাঁপাই নবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম (১৬’শ)
6.    নাটোরের কাঁচাগোল্লা (১৭’শ)
— ডিপিডিটির সার্টিফিকেট অনুসারে।

বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্য জামদানি শাড়ী। ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চেয়ে ডিপিডিটি বরাবর আবেদন করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)। এরপর ২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর দেশের প্রথম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করেছে।

বর্তমানে জিআই পণ্য ২১টি। সর্বশেষ স্বীকৃত জিআই পণ্য কুষ্টিয়ার তিলের খাজা। ২০২৪ সালে আরও ৪টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে, ১. বাংলাদেশ ব্লাক বেঙ্গল ছাগল, ২. টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, ৩. কুমিল্লার রসমালাই ও ৪. কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।

২০১৯ সালের ৪ জুলাই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চেয়ে বাগদা চিংড়ির জন্য আবেদন করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এরপর ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে দেশে ১০ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করেছে ‘বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি’।

২০১৭ সালের ৯ মার্চ তারিখে ফজলি আমের জিআই স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করা হলে ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল ১১ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করে ‘রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম’। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান: ১. ফল গবেষণা কেন্দ্র, বিনোদপুর ও ২. চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশন।

বাংলাদেশের শীতলপাটি দেশের ১২ তম জিআই পণ্য। বিসিক থেকে ডিপিডিটি বরাবর আবেদন করা হয়েছিল ২০২১ সালের ১৬ মার্চ এবং ২০২১ সালের ২০ জুলাইতে ১২ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করেছে বাংলাদেশের শীতলপাটি।

বগুড়ার দই দেশের ১৩ তম জিআই পণ্য। ২০১৮ সালের ১লা জানুয়ারিতে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছে বগুড়া রেঁস্তোরা মালিক সমিতি। এরপর ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারিতে দেশের ১৩ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করেছে বগুড়ার দই।

শেরপুরের তুলশীমালা ধান দেশের ১৪ তম জিআই পণ্য। ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চেয়ে ডিপিডিটি বরাবর আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শেরপুর। ২০২৩ সালের ২৫ জুন দেশের ১৪ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করেছে শেরপুরের তুলশীমালা ধান।

দেশের ১৫ তম জিআই পণ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম। ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর ডিপিডিটি বরাবর আবেদন করেছে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এটি ২০২৩ সালের ২৫ জুন ১৫ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম দেশের ১৬ তম জিআই পণ্য। এটির আবেদনকারী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বরে আবেদন করা হলে ২০২৩ সালের ২৫ জুন ১৬ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করে।

দেশের ১৭ তম জিআই পণ্য নাটোরের কাঁচাগোল্লা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নাটোর। সকল যাচাই বাছাই শেষ করে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ৮ তারিখে দেশের ১৭ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করেছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা।

২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ’বাংলাদেশ ব্লাক বেঙ্গল ছাগল’ এর জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারিতে দেশের ১৮ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করেছে বাংলাদেশ ব্লাক বেঙ্গল ছাগল।

২০২৩ সালের ৩ মার্চ টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের জিআই স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইল এরপর ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারিতে দেশের ১৯ তম জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করেছে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম।

দেশের ২০ তম জিআই পণ্য কুমিল্লার রসমালাই। ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ ডিপিডিটি বরাবর আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুমিল্লা। জিআই স্বীকৃতি অর্জন করেছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ।

কুষ্টিয়ার তিলের খাজা দেশের ২১ তম জিআই পণ্য। তিলের খাজার জিআই আবেদনকারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুষ্টিয়া। আবেদেন হয়েছে ২০২৩ সালের ১৭ই মার্চ এবং স্বীকৃতি পেয়েছে ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি।