জামদানি বিশ্ব ঐতিহ্য ও জিআই স্বীকৃত
জামদানি এখন শুধু বয়নশিল্প নয়, জামদানি বিশ্ব ঐতিহ্য ও জিআই স্বীকৃত। বিশ্বের বুকে উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশের পরিচিতি। ধারণা করা হয় ঢাকাইয়া মসলিনের যাত্রা হয়েছিল মুঘল আমলে। তখনকার মুসলিম তাঁতিদের হাত ধরে মসলিনের উত্তরসূরী হিসেবে শুরু হয়েছে জামদানি বয়ন ও ব্যবহার। এটি মসলিনের আলাদা একটি প্রকার। সুতার কাউন্ট, বুনন আর নকশায় প্রকাশ পায় জামদানির আভিজাত্য। বর্ণ, বৈচিত্র আর নকশার ভিন্নতার কারণে জামদানি অপরূপ। আগে কেবল শাড়ি উৎপাদন হলেও হালের ট্রেন্ড হিসেবে ওয়ান পিস, টু পিস, থ্রি পিস, পাঞ্জাবি, কুর্তা ইত্যাদি হয় জামদানি থেকে। ঢাকার উপকণ্ঠে সোনারগাঁও উপজেলার আশেপাশে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জামদানির উৎপাদিত হয়ে আসছে। জামদানি স্থান পেয়েছে বইয়ের পাতায় পাতায়, গান, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র আর মানুষের আবেগ ও ভালোবাসায়।
জামদানির নামকরণ
জামদানির নামকরণে রয়েছে সংশয়। নিচে ৩টি মত তোলে ধরছি:
- উচ্চমাধ্যমিকের (ওপেন স্কুল) গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্রে বলা হয়েছে, জামদানি শব্দটি ফরাসী শব্দ থেকে এসেছে। জাম হচ্ছে পারস্য দেশীয় উৎকৃষ্ট এক শ্রেণির সুতা, আর দানি হচ্ছে বাটি বা পেয়ালা। তাই একত্রে অর্থ দাঁড়ায়, জামদানি হচ্ছে উৎকৃষ্ট সুতার ধারণকারী।
- উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার নিবন্ধ থেকে জানা যায়, ফার্সি শব্দ জামা অর্থ কাপড় আর দানা অর্থ বুটি। সে অর্থে জামদানি অর্থ বুটিদার কাপড়। অবশ্য জামদানি শাড়িতে অসংখ্য বুটির উপস্থিতি পাওয়া যায়।
- অন্য মতে, ফারসিতে জাম অর্থ এক ধরনের উৎকৃষ্ট মদ এবং দানি অর্থ পেয়ালা। জাম পরিবেশনকারী ইরানি সাকীর পরনের মসলিন থেকে জামদানি নামের উৎপত্তি ঘটেছে।
জামদানির উৎপত্তি
জামদানি একটি উন্নতম মানের, প্রাণবন্ত প্যাটার্নযুক্ত সুতি কাপড়। মুঘল আমলে বাংলার মসিলন ছিল খুবই মূল্যবান কাপড়। ধারণা করা হয় মুসলিম তাঁতিদের হাত ধরে মসলিনের উত্তরাধীকার হিসেবে বেড়ে উঠেছে জামদানি। উনিশ শতকের মধ্য ভাগে ইংরেজ শাসনামলে বস্ত্র শিল্পের চরম বিপর্যয় দেখা দেয়। মসলিন বিলুপ্তির প্রধান কারণ ইউরোপের শিল্পবিপ্লব ও আধুনিক যন্ত্রপাতির আবিষ্কার। কারখানায় উৎপাদিত সস্তা দামের কাপড়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাজার থেকে মসলিন হারিয়ে যায়। সমসাময়িক বাড়তে থাকে জামদানির উৎপাদন ও ব্যবহার। দিনে দিনে জামদানি অর্জন করে শ্রেষ্ঠত্ব।
ওপেন স্কুলের পাঠ্যবই মতে, ইরানী বাদশাহর পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু সংখ্যক তাঁতিদের সহযোগিতায় ঢাকার পাশে (নারায়ণগঞ্জ) জামদানির বয়ন কাজ শুরু হয়েছে। বাদশাহ আওরঙ্গজেব ছিলেন জামদানির বিশেষ গুণগ্রাহী। মুর্শিদাবাদের নবাবরাও জামদানি পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামদানি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পুনরায় জামদানি উৎপাদন শুরু করে রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, ডেমরা, রূপসী, আড়াইহাজার, নরসিংদী ইত্যাদি এলকার তাঁতিরা।
জামদানির বিকাশ
১৭০০ সালের দিকে ইংল্যান্ডে প্রথম জামদানি রপ্তানি করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী। যার বাজার মূল্য ছিল মিলিয়ন রুপী। এরপর ১৭৪৭ সালের দিকে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার জামদানি কেনা হয় দিল্লীর বাদশাহ, বাংলার নবাব ও জগৎ শেঠের জন্য।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো ইউনিয়নের নোয়াপাড়ায় জামদানির শিল্পনগরী ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। ২০ একর জমির উপর গড়ে উঠা এই শিল্পনগরীতে মোট ৪০৯টি শিল্প প্লট রয়েছে। এরমধ্যে ৩৯৯ টি প্লট বরাদ্দ নিয়ে ৩৬৩টি জামদানি কারখানা স্থাপন করেছে উদ্যোক্তারা।
বয়ন পদ্ধতি
এখনো পৃথিবীর অন্যতম ধ্রুপদি বস্ত্র, প্রাচীন কৌশলে গর্ত তাঁতে বোনা হয় জামদানি। বুননের প্রধান কাঁচামাল সুতা। এই সুতার রয়েছে প্রকারভেদ। আগে জামদানি তৈরিতে সুতি, নাইলন ও রেশম সুতার ব্যবহার হলেও বর্তমানে সুতি আর নাইলন সুতার ব্যবহার বেড়েছে। ভেষজ রং ব্যবহার করে সাদা সুতাকে করা হয় রঙিন। তবে বর্তমানে সাদার পাশাপাশি বিভিন্ন রঙের সুতা পাওয়া যায় বাজারে।
নকশা ও কারিগর
সুতা আর তাঁত প্রস্তুত হলে জামদানি শাড়ি বয়নে বসেন প্রধান তাঁতি। সাথে নিয়ে বসেন একজন শিক্ষানবিশ বালক। এই বালক কাজ করে মূল তাঁতির সাথে। সে কাজ করতে করতে শিখে নেয় কয়টি সুতা ছাড়তে হবে আর কয়টি সুতা ধরতে হবে ইত্যাদি। এভাবে উস্তাদের কাছে জামদানি বয়ন শেখে শিক্ষানবিশ বালক। সেও ক্রমে হয়ে উঠে একজন পাকা তাঁতি।
শাড়ি তৈরির পূর্বে মূল তাঁতি শিক্ষানবিশ তাঁতিকে কিছু বাক্য (বিসমিল্লাহ দনেশ্বরী, ওস্তাদের চরণধরি, যে কাম ধরি সেই কাম শিক্ষা করি, হে আল্লাহ তুমি আমাদের কাজ কর্মের সারাদিনের হেফাজত রাইখ) পাঠ করিয়ে শুরু করেন বুনন প্রক্রিয়া। তাঁতিরা (সহকারী/শিক্ষানবিশ) দুই চোখে দেখে দেখে আর কান খোলা রেখে হাতে বোনে থাকেন জামদানি। অর্থাৎ ওস্তাত যখন যা নির্দেশ দেয় তা অনুসরণ করে দিনের পর দিন বুনেন।
অন্যান্য তাঁতের শাড়ি একজন তাঁতি বোনতে পাড়লেও জামদানি বোনতে প্রয়োজন হয় দুই জন তাঁতি। প্রতি তাঁতে একজন দক্ষ কারিগর এবং একজন সাহায্যকারী তাঁতি বসে। মূল তাঁতি বসেন ডানে এবং তিনি নকশা তৈরি করে আর সাহায্যকারী বসেন বামে। তিনি মূল তাঁতির নকশা অনুসারে হাত ও পায়ে তাঁত চালান। শাড়ির নকশা, ঘনত্ব আর কাউন্ট অনুযায়ী ৭ দিন থেকে ৬ মাস সময় লাগে একটি শাড়ি সম্পন্ন করতে। সুতার কারুকাজ সোজা পিঠ ও উল্টা পিঠ দুই দিকেই একই।
উল্লেখ্য, জামদানি বয়নে বংশপরম্পরায় কাজ শিখে এই পেশায় যুক্ত হয় ছেলেরা। আগের মেয়েরা এই পেশায় না আসলেও বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী মিলে অনেকে বুনে থাকেন জামদানি শাড়ি। তবে বাড়ির মেয়েরা বেশিভাগ ক্ষেত্রে ফুল তোলা, সুতা প্রস্তুত করা-সহ অন্যান্য কাজে সাহায্য করে।
ফুল আর নকশা অনুযায়ী নামকরণ করা হয় জামদানি শাড়ির। চারপাশের প্রকৃতি থেকে ধারণা নিয়ে কাপড়ে নকশা ফুটিয়ে তোলেন তাঁতিরা। প্রতিটি জামদানির নকশায় রয়েছে প্রকৃতি, পরিবেশ, বৃক্ষলতা ইত্যাদি। এরমধ্যে জনপ্রিয় নকশা- তেরছা, শাপলা ফুল, পান্না হাজার, দুবলাজাল, হংসবলাকা, জলপাড়, সাবুরগা, বাঘনলি, চন্দ্রপাড়, বুটিদার, ঝালর, ময়ূরপাখা, কল্কাপাড়, প্রজাপতি, শবনম, ঝুমকা, জবাফুল, করোলা, কলমিলতা, কচুপাতা ইত্যাদি। নারায়ণগঞ্জের জামদানি শাড়ি দৈর্ঘ হয় সাধারণত ১২ হাত লম্বা।
জামদানি নকাশার দুইটি ভাগ।
- জমিনের নকশা অনেক ভাবে হয়। নিচে ৩টি উল্লেখ করেছি।
- বুটা: পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্নভাবে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করে। এসব বুটার নাম- আশরাফী ফুল, গিল ফুল, গাঁদা ফুল, শাপলা, পাতা বাহার, চিতা ফুল, গরুর সিং, ডুমুর ফল ইত্যাদি।
- জাল: বুটিগুলো পরস্পর সংযুক্ত। দুবলীজাল, হাবলা, আংটি, বেলপাতা, নিমপাতা ইত্যাদি।
- তেসরী: কোণাকুণি অলংকরণের নাম তেসরী। বিভিন্ন ধরণের তেসরী নকশার নাম- ডালম, চিনির বাসন, ভাঙ্গা করাত, সাবুদানা, কলারফানা ইত্যাদি।
- পাড়ের নকশা। নকশাভেদে জামদানি শাড়ির পাড়ের ভিন্ন নাম হয়। যেমন- কলকা, দুবলা, কাঠি, সিক, সুচ, শামুক ইত্যাদি।
জামদানির প্রকারভেদ
জামদানি শাড়ি বহুপ্রকারের উৎপাদন হলেও সুতার ব্যবহার অনুযায়ী এখানকার জামাদানি প্রাথমিক ভাবে ৪ প্রকার।
- সিল্ক জামদানি
- হাফ সিল্ক জামদানি
- সুতি জামদানি
- নাইলন জামদানি
উৎপাদন অঞ্চল
জামদানি তৈরিতে যে বিশেষ আবহাওয়ার আর্দ্রতা প্রয়োজন সেটা পাওয়া যায় শীতলক্ষ্য নদীর পাড়ে। এটি ব্রহ্মপুত্র নদের একটি শাখা নদী। নরসিংদী, ঢাকা, গাজীপুর ও নারয়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে গেছে এই নদী। নানা স্থানে জামদানি তৈরী হলেও ঢাকাকে গণ্য করা হয় জামদানির আদি জন্মস্থান বলে। ঢাকাইয়া জামদানির বয়ন হয় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁ উপজেলা। এছাড়াও নরসিংদী, গাজীপুরসহ দেশে বিভিন্ন প্রান্তে বয়ন করা হয় জামদানি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের প্রতি ১০০ জনের ৬ জন শ্রম দেন তাঁতের কর্মযজ্ঞে। এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২২২টি গ্রামে ৫ হাজারের বেশি তাঁতি পরিবার আছে। সোনারগাঁয়ের দুই হাজার তাঁতে জড়িয়ে আছে ৮০০ পরিবার। কেবল নারায়ণগঞ্জের আশেপাশে এই শিল্পের সাথে জড়িত লোকের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। যারা বংশ পরম্পরায় জামদানি বুননে নিয়োজিত।
জামদানি শাড়ির হাট
প্রতি শুক্রবার ভোর ৫ টায় ডেমরার শীতলক্ষ্যর তীরে বসে ঢাকাইয়া জামাদানির বড় হাট। তা একটানা চলে সকাল ৯ টা পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার ও তাঁতিরা আসেন এই শতবর্ষী হাটে। যে গতিতে চলে তাঁতীদের তাঁত ঠিক তার দ্বিগুণ গতিতে চলে জামদানির বিক্রি। রুপগঞ্জ, তারাবো, নোয়াপাড়া, রূপসী, মইকুলি, সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, সিদ্ধিরগঞ্জ-সহ নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন তাঁত পল্লীর প্রায় ৪ হাজার তাঁতি পরিবার যোগান দেয় এই বাজারের জামদানি চাহিদা। দরকষাকষির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে কেনা যায় জামদানি। ৪-৮ টা শাড়ি কিনলে মিলে পাইকারি দর। নকশা আর বুননের উপর নির্ভর করে ৬০০ থেকে ৮০০০০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় প্রতিটি জামদানি শাড়ি।
শতাধিক নকশার জামদানি মিলে এই হাটে। সুতার ধরণ আর কাউন্টের উপর নির্ভর করে জামদানির দাম ও মান। কাউন্ট যত বেশি, সুতা তত চিকন। ৮০-৮৪ কাউন্টের জামদানি সবচেয়ে মিহি ও ভালো। নরম মনে হলে রেশম সুতা আর শক্ত মনে হলে নাইলন সুতা। আগে কেবল শাড়ি পাওয়া গেলেও বৈচিত্র এসেছে জামদানি পণ্যে। শাড়ির পাশাপাশি পাওয়া যায় ওয়ান পিস, টু পিস, থ্রি পিস, পাঞ্জাবি পিস। প্রতি হাটে বিক্রি হয় ৬-৮ হাজার পিস জামদানি শাড়ি। যার বাজার মূল্য ২-৩ কোটি টাকা। ডেমরার হাটের জামদানি চালান (পৌঁছে) হয় সারাদেশে আর রপ্তানি হয় ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেনসহ নানান দেশে।
জামদানি শাড়ির ব্যবহার ও যত্ন:
- আসল জামদানি শাড়ি চেনার উপায় : দ্রুত আপডেট হবে।
- কাটাওয়াশ কী? কীভাবে করে : দ্রুত আপডেট হবে।
- কাউন্ট কীভাবে করা হয় জামদানি শাড়িতে? এর সাথে দামের কী সম্পর্ক? : দ্রুত আপডেট হবে।
- জামাদানি শাড়ির যত্ন কীভাবে নিতে হয়? : দ্রুত আপডেট হবে।
- জামদানি সংরক্ষণ পদ্ধতি বলেন : দ্রুত আপডেট হবে।
- দামি জামদানি চেনার উপায় : দ্রুত আপডেট হবে।
জিআই পণ্য
২০১৫ সালে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)-এর কাছে জামদানির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধন ও স্বীকৃতি পেতে আবেদন করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক)। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে ডিপিডিটি থেকে ২০১৬ সালের ১৭ই নভেম্বর দেশের প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে জামদানি। সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, “জামদানি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পণ্য মসলিনের পঞ্চম সংস্করণ।” এ শাড়ির স্বত্ব নিয়ে নিয়েছিল ভারত। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আইনি লড়াই চালিয়ে এ স্বত্ব পায়। ভারতের জামদানি আর বাংলাদেশের জামদানি সম্পূর্ণ আলাদা।
জামদানির যত স্বীকৃতি
- ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির অষ্টম সম্মেলনে জামদানিকে ’ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
- ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন (জিআই) পণ্যের মর্যাদা পেয়েছে জামদানি।
- ২০১৯ সালের ৮ই অক্টোবর ‘বিশ্ব কারুশিল্প নগর’ (ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফট সিটি)–এর মর্যাদা লাভ করেছে সোনারগাঁ উপজেলা। বাংলাদেশের প্রথম কোনো এলাকা হিসেবে এই মর্যাদা লাভ করেছে সোনারগাঁ।
বই, সিনেমা, নাটক, গান
জমাদিন এখন আর কেবল বয়নশিল্প নয়। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি প্রমাণ করে দেয় জামদানি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। তাই জামদানির উপর লেখা হয়েছে বেশ কিছু বই, গান, কবিতা, নাটক ও চলচ্চিত্র। এর মধ্য থেকে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো-
- বই
- ঐতিহ্যবাহী জামদানি নকশা।
প্রকাশক: জাতীয় জাদুঘর - অলিভ রঙের জামদানি
লেখক: ইন্দ্রাণী বিশ্বাস মণ্ডল - জামদানী নকশা
সংগ্রহ ও সম্পাদনা: সমর মজুমদার। - বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বাংলাদেশের জামদানি
লেখক: মিনার মাসুদ - জামদানি শাড়ির নন্দনতত্ত্ব
লেখক: জাকিয়া রেহানা ও ফারিয়া মাহজেবীন - বাংলাদেশের তাঁতশিল্প
লেখক: শাওন আকন্দ
- ঐতিহ্যবাহী জামদানি নকশা।
- সিনেমা
- জামদানি (এখনো মুক্তি পায়নি)
চলচ্চিত্র নির্মাতা: অনিরুদ্ধ রাসেল
- জামদানি (এখনো মুক্তি পায়নি)
- নাটক
- রূপার জামদানী
পরিচালনা: আনিস রহমান
- রূপার জামদানী
- গান
- পরী তুই হইলি না আমার
নাটক: পতঙ্গ
- পরী তুই হইলি না আমার